ওয়েব ডেস্ক: বিবাহ (Marriage), বিবাহ-বিচ্ছেদের (Divorce) সার্টিফিকেট ওয়াকফ বোর্ড (Waqf Board) কীভাবে দিচ্ছে, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলল কর্নাটক হাইকোর্ট (Karnataka High Court)। ২০২৩ সালের ৩০ অগাস্ট ওয়াকফ বোর্ড এবং বোর্ডের জেলা অফিসারদের মুসলিম দম্পতিদের বিবাহ ও বিবাহ-বিচ্ছেদের শংসাপত্র দেওয়ার অনুমোদন দেয় রাজ্য সরকার। রাজ্যের সংখ্যালঘু ও ওয়াকফ এবং হজ দফতরের আন্ডার সেক্রেটারি দ্বারা জারি হওয়া সেই সরকারি নির্দেশিকার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে জনস্বার্থ মামলা (PIL) দায়ের করেন ওয়াসিম পাসার নামে এক ব্যক্তি।
উচ্চ আদালতে মামলাকারী দাবি করে, স্থাবর এবং অস্থাবর সম্পত্তি সংক্রান্ত বিষয় সম্পর্কে সিদ্ধান্ত নেওয়ার সুযোগ আছে ওয়াকফ আইনে (Waqf Law)। কিন্তু বিবাহ সংক্রান্ত শংসাপত্র দেওয়ার অধিকার তাদের নেই। এই বক্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে গত বছর আদালত ওই নির্দেশিকায় স্থগিতাদেশ দেয়। সেই সঙ্গে রাজ্যের বক্তব্য তলব করে। কিন্তু সোমবারের শুনানিতেও রাজ্য সেই জবাব দিতে না পারায় আরও সময় বরাদ্দ করল আদালত।
আরও পড়ুন: সাজাপ্রাপ্ত কীভাবে রাজনীতিতে ফেরে? কেন্দ্র ও নির্বাচন কমিশনের বক্তব্য তলব সুপ্রিম কোর্টের
শুনানিতে প্রধান বিচারপতি এন ভি আঞ্জারিয়া ও বিচারপতি এমআই অরুণের মন্তব্য, ওয়াকফ বিয়ে, বিবাহ-বিচ্ছেদের শংসাপত্র দিচ্ছে? জবাব দেওয়ার জন্য বেশি সময় দেওয়া যাবে না। বিষয়টি অত্যন্ত গুরুতর। আপাতদৃষ্টিতে ওয়াকফ আইন অনুসারে এমন ক্ষমতাই তাদের নেই। ১৯ ফেব্রুয়ারি এই মামলার পরবর্তী শুনানি।
দেখুন অন্য খবর: